ইলমে দীনের গুরুত্ব ও ফজিলত- (সম্মিলিত)
نحمده ونصلي على رسوله الكريم اما بعد فاعوذ بالله من الشيطان
الرجيم بسم
الله الرحمن الرحيم
وَمَنْ يُؤْتَ
الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
وقال رسول الله صلى الله عليه وسلم مَنْ يُرِدِ اللَّهُ بِهِ
خَيْرًا يُفْقَهُهُ فِي الَّذِينَ
হযরত আয়শা সিদ্দীকা রা. ছাত্রী পাঠাগার কর্তৃক আয়োযিত আজকের প্রতিযোগিতা
মুলক বক্তৃতা অনুষ্ঠানের সম্মানিত সভাপতি, ন্যায়ের মানদন্ড হাতে বিজ্ঞ বিচারক মণ্ডলী, সুদক্ষ পরিচালক
ও আজকের সুধী।
আমার নির্ধারিত বিষয় 'ইলমে দীনের গুরুত্ব
ও ফজিলত -এ সম্পর্কে সময়ের সংক্ষিপ্ত পরিসরে কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করব; ইনশাআল্লাহ।
প্রিয় উপস্থিতি।
ইলমে দীনের গুরুত্ব
অপরিসীম। এই ইলমই মানুষকে উভয় জাহানে সফলতার পথ দেখায়। শান্তি ও সুখের পথ দেখায়।
পরিচালিত করে ন্যায় ও ইনসাফের পথে। পুশুত্বের জীবন থেকে মনুষ্যত্বের জীবন দান করে।
সম্মানিত সুধী।
ইলম হলো আল্লাহ তাআলার বিশেষ গুণ । ইলমে দীন ছাড়া
মানুষ মুর্খ এবং পশুর
সমতূল্য। যাকে ইলম দান করা হয়েছে তাকে সর্বোত্তম নেয়ামত দান করা হয়েছে।
এই জন্যই আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন, وَمَنْ يُؤْتَ الْحِكْمَةَ فَقَدْ أُوتِيَ خَيْرًا كَثِيرًا
যাকে দীনের ইলম
দেয়া হলো, তার বিপুল
পরিমাণে কল্যাণ লাভ হলো ।
প্রিয় সুধী!
সঠিক ইলম কারো মধ্যে থাকলে সে কখনো পথভ্রষ্ট হবে না। অন্যায়ের পথে চলবে না । অন্যায়
কাজ করবে না। আল্লাহ তাআলার নাফরমানী তার পক্ষে অসম্ভব। পক্ষান্তরে ইলম ছাড়া ব্যক্তি
সাধারণত অন্যায়ের পথে চলে। অন্যায় কাজ করে এবং খুব সহজেই শুনাহে পতিত হয়।
প্রিয় উপস্থিতি।
ইলম হলো জ্ঞানী
আর মুর্খের মাঝে পার্থক্য করার একটি মাধ্যম।জ্ঞানী আর মূর্খ কখনোই এক সমান হতে পারে
না। তাইতো আল্লাহ তাআলা পবিত্র | কুরআনে দ্ব্যর্থহীন কণ্ঠে ঘোষণা করেন,
قُلْ هَلْ يَسْتَوِي
الَّذِينَ يَعْلَمُونَ وَالَّذِينَ لَا يَعْلَمُونَ إِنَّمَا يَتَلَ كُرُ أُولُو
الْأَلْبَاسِ
যারা জানে আর যারা
জানে না, তারা কি
কখনো সমান হতে পারে? (সুরা যুমার
: ৯)
প্রিয় সুখী।
আল্লাহ তাআলা যাকে
ইলমের মতো মহাদৌলত দান করেছেন তার উচিৎ ইলম অনুযায়ী চলা এবং সর্বদা শোকর আদায় করা।
যেন ইলমে কোনো প্রকার খেয়ানত না হয়। তাইতো শেরে খোদা হযরত আল রাযিয়াল্লাহু আনহু
দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা করেন,
رَضِينَا قِسْمَةَ
الجُبَّارِ ... فِينَا لَنَا عِلْمٌ وَلِلْأَعْدَاءِ مَالَ فَإِنَّ الْمَالَ
يَفْنَى عَنْ قَرِيبٍ ... وَإِنَّ الْعِلْمَ يَبْقَى لَا يُزال
আমরা আল্লাহ তাআলার
বণ্টনে সন্তুষ্ট
কেননা, আমাদের
জন্য রয়েছে ইল্ম, আর শত্রুদের
রয়েছে ধন-সম্প আর ধন-সম্পদ অচিরেই শেষ হয়ে যাবে,
কিন্তু ইল্ম সর্বদা
বাকী থাকবে । হাদীস শরীফে মুসলমান নর-নারী
প্রত্যেকের উপর ইলমে দ্বীন শিক্ষা করা ফরজ করা হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে,: طلبُ العِلْمِ فَرِيضَةً على كُلِّ مُسْلِمٍ
ইলমে দ্বীন শিক্ষা
করা প্রত্যেক মুসলমানের উপর ফরজ।
আরো ইরশাদ হচ্ছে:
من يُرِدِ اللهُ بِهِ
خَيْرًا يُفقهه في الدِّينِ
আল্লাহ তাআলা যার
কল্যাণ চান, তাকে দীনের
জ্ঞান দান করেন।
প্রিয় উপস্থিতি
ইলমে দীনের ফজিলতের
ক্ষেত্রে হাদীস শরীফে ইরশাদ হচ্ছে,
منْ سَلَكَ طَريقًا
يَبْتَغِي فِيهِ علْمًا سهَّل اللَّه لَه طَريقًا إِلَى الجنةِ
যে ব্যাক্তি ইলম
অন্বেষণের রাস্তায় চলল,
আল্লাহ তাআলা এর বিনিময় তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। আরো ইরশাদ হয়েছে: فضل العالم على
العَابِدِ كَفَضْلي على أَدْنَاكُمْ
আলেমের মর্যাদা
আবেদের উপর তেমন, যেমন আমার
মর্যাদা তোমাদের উপর।
উপরোক্ত কোরআন এবং
হাদীসের আলোচনা দ্বারা আমাদের সামনে ইলমে দীনের গুরুত্ব ও ফজিলত স্পষ্ট হয়ে যায়।
তাই আসুন, ইলমে দীন শিক্ষা
করে সেই অনুযায়ী আমল করে উভয় জাহানের সফলতা লাভ করি। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক
দান
করুন। আমীন।
وأخر دعوانا أن الحمد
لله رب العلمين